১৯ - ২০ আগস্ট, ২০১৬



পাটচাষীরা নাটোরের খলিসাডাঙ্গা নদীতে নিয়মিত পাট জাগ দেন। এতে নদীটির পানি যেমন দূষিত হচ্ছে, প্রতিবেশও বিপন্ন হচ্ছে। গত ১৯ ও ২০ আগস্ট নাটোরের লালপুর উপজেলার নান্দরায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত কুদরাত-ই-খুদা সামার সায়েন্স ক্যাম্পে শিক্ষার্থীদের একটি দল কীভাবে স্থানীয় এই সমস্যাটি সমাধান করা যায়, এবং একই সাথে বিকল্প উপায়ে পাট জাগ দেয়া যায়, সেটা নিয়ে গবেষণা করে একটি বৈজ্ঞানিক পোস্টারে উপস্থাপন করেছে।
বিএফএফ-এসপিএসবি শিশু-কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেস ২০১৬ এর প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্যে ক্যাম্পটি আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৫ জন শিক্ষার্থী ক্যাম্পটিতে অংশ নেয়।



শিক্ষার্থীদের শিশু-কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেসের কার্যক্রমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। তারপর কংগ্রেসে অংশগ্রহণের পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা কীভাবে করা হয়, হাতের কাছের বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করে সহজে মৌলিক বিভিন্ন একক মাপার উপায়, বৈজ্ঞানিক পোস্টার তৈরি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

দ্বিতীয় দিনে শিক্ষার্থীরা আটটি দলে ভাগ হয়ে পোস্টার তৈরির জন্যে গবেষণা করেছে, এবং পোস্টারগুলো উপস্থাপন করেছে। খলিসাডাঙ্গা নদীতে পাট জাগ দেয়া নিয়ে করা পোস্টারটির পাশপাশি অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- পরিবেশদূষণ রোধে বায়োফুয়েলের ব্যবহার, সোলার প্যানেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং লোডশেডিংয়ের সময়ে সেটা ব্যবহার, বায়োম্যাস থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন, ভেষজ উদ্ভিদ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা, বাতাসের একই তাপমাত্রায় দূষিত পানির তাপমাত্রা বনাম বনাম বিশুদ্ধ পানির তাপমাত্রা।



ক্যাম্পটিতে মেন্টর হিসেবে ছিলেন এসপিএসবির শিবলী বিন সারওয়ার,তানভীরুল ইসলাম ও সাদিয়া কবির দিনা।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি) এবং বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ) ক্যাম্পটি আয়োজন করে। সহযোগিতা করেছে ড্রিমস ফর টুমরো ও ইউসিএসএসএ।